নতুন বছর সবার জন্য শুভ হোক Happy New Year
নতুন তো কিছু নয়। শীতের কুয়াশা ছিঁড়ে আজো সূর্য উঠেছে। তবু যেন মনে হয়, নতুন দিন নতুন কিছু নিয়েই হাজির হয়েছে। ভোরের আলোতে যেন বেশি মায়া মাখানো। যেন অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা পূরণের বার্তা জানান দিচ্ছে এই আলো। বলছে, সামনের দিনগুলোতে অনিশ্চয়তা কেটে গিয়ে শুভময়তা ছড়িয়ে যাবে আশাজাগানিয়া কিরণ যেন সে দ্যুতিই ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রত্যেকের প্রাণে, মনে।
আজ ২০২৪ সালের প্রথম দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মতো আমরাও আমাদের অগণিত পাঠককে জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। নতুন বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক—এই প্রত্যাশা।
গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন প্রত্যাশা, স্বপ্ন। বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ পালনের ধরন বাংলা নববর্ষ পালনের মতো ব্যাপক না হলেও এ উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে বাংলাদেশের মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়।
এবারের নতুন বছর বাংলাদেশের মানুষের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আর মাত্র ছয় দিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের মানুষের সামনে এই নির্বাচনকে সফল করে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব। নির্বাচনকে ঘিরে নানা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী চক্রান্তে লিপ্ত। গাড়ি পোড়ানো, ট্রেনের লাইন কেটে মানুষ হত্যা এবং সহিংসতা ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা চলছে। নতুন বছর সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে উন্নয়ন ও প্রগতির পথে বাংলাদেশকে যাত্রার এক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে।
নতুন বছরে দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। বছরটি যেন সমাজ জীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে যেন আমাদের প্রিয় স্বদেশ যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
যিশু খ্রিষ্টের জন্ম তারিখ থেকে যে সাল গণনা শুরু হয়েছিল তাই আজ বিশ্ব জুড়ে ইংরেজি বর্ষ হিসেবে পরিচিত। তবে ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরির আদেশে এ বর্ষপঞ্জির প্রচলন হয়। সে জন্য একে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি বলা হয়। সে বছর অল্প কয়েকটি রোমান ক্যাথলিক দেশ এ বর্ষপঞ্জি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে তা প্রায় সারা বিশ্বে প্রচলিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন
Array