নৌকা প্রতীকের পক্ষেই সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানালেন মাহমুদা বেগম কৃক
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ পদপ্রার্থী মাহমুদা বেগম কৃক নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নৌকার পক্ষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আজ বেলা ১২:০০ টায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি দীর্ঘ ৬ বছর বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীসের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা।
সারা বাংলাদেশের মহিলা আওয়ামী লীগকে আমি সংগঠিত করে একটি অন্যতম বৃহত্তম সক্রিয় সংগঠনে পরিনত করেছি। ঢাকার কাফরুল কচুক্ষেতে ২০০১ সালে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার নির্বাচিত হয়ে প্রায় ১১ বছর জনগনের সেবা করেছি।
এছাড়া ফরিদপুর ১ এর আপামর জনসাধারনের সাথে বিগত বছর গুলোতে মিলে মিশে আছি। সাংসদ না হয়েও ফরিদপুর ১ এর অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রেখেছি।পরিশেষে আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণ মূলক এবং প্রতিযোগিতা মূলক করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুর ১ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু ইতিমধ্যে আপনারা সবাই দেখছেন ফরিদপুর ১ এর নির্বাচন বর্তমানে নৌকা, জাতীয় পার্টি, বি এন এ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পদচারনায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আমার লক্ষ্য ছিলো শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ করা নৌকার বিরুদ্ধাচারণ করা নয়। কারণ আমি তো ৩৫ বছর যাবত নৌকারই যাত্রী। সুতরাং এই মুহূর্তে নৌকার ভোটারদেরকে বিভক্ত না করে নৌকাকে বিজয়ী করাটাই আমার রাজনৈতিক দায়িত্ব এবং সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে আমার বড় ভাই, রাজনৈতিক গুরু, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংগ্রামী নেতা রহমান ভাই অর্থাৎ নৌকার সমর্থনে আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম। আপনারা আসন্ন নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে এগিয়ে আসবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, সহ-সভাপতি ডিউবি শিকদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পারভিন ইসলাম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাসিমা খাতুন, শহর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া বেগম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক রত্না আহসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অন্তরা রানী দাস, সদস্য মাহবুবা চন্দন।
আপনার মতামত লিখুন
Array